কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ছবি তৈরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই অভিযোগে বিশ্বব্যাপী অনেক মামলা হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় এটিই প্রথম বলে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসাননের কৌঁসুলির কার্যালয় বলছে, চলতি মাসেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিটিকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
অভিযুক্ত ব্যক্তি গত এপ্রিলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রায় ৩৬০টি ছবি তৈরি করেছিল। এ ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ ছবিগুলো জব্দ করেছে।
বিচার চলাকালীন কৌসুলিরা বলেন, আইনে যৌন নিপীড়নমূলক উপাদানের সংজ্ঞায়নে যৌন আচরণের বর্ণনায় ‘বাস্তব শিশুদের উপস্থিতি’ উল্লেখ করার বদলে ‘ভারচুয়াল মানুষ’ উল্লেখ করা উচিত।
আইন অনুসারে, যৌন নিপীড়নমূলক কনটেন্টে ‘উচ্চ মাত্রার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তব শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের মতো দেখায় এমন ছবি অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে সারা বিশ্বকেই এআই কনটেন্টের বিরূপ প্রভাবের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কপিরাইট ও বুদ্ধিগত সম্পত্তি থেকে জাতীয় নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং আপত্তিকর কন্টেন্ট— সবকিছুতেই প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
অনেকেই এ প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বিশেষ করে, দক্ষিণ কোরিয়ার এ শাস্তি দেওয়ার ঘটনা থেকে বোঝা যায়, কীভাবে ব্যক্তির, বিশেষ করে নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য এআই ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর আগে এ মাসেই স্পেনে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের ছবি থেকে এআই ব্যবহার করে গায়ের কাপড় মুছে ফেলে শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ।
গত জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রথম বিভিন্ন সংস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এরপরই জুলাইতে চীনও এ বিষয়ে আইন তৈরি করে।