২৪ বছর পর পাকিস্তানে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। মাঠের বাইরে এ সিরিজ নিয়ে আলোচনা-বিশ্লেষণ আর উত্তেজনার কমতি ছিল না। মাঠে অবশ্য তার ছিটেফোঁটাও টের পাওয়া গেল না। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পাঁচ দিনে ঠিকঠাক তিন ইনিংসও শেষ করতে পারল না দুই দল। এর মধ্যে প্রশ্ন উঠছে—পাঁচ দিন খেলেও এমন প্রাণহীন টেস্ট ড্র সর্বশেষ কবে দেখা গেছে।
আজ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষ দিন যখন শুরু হয়, তখনো দুই দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। ৭ উইকেটে ৪৪৯ রান নিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে দেননি পাকিস্তান বোলাররা। আর মাত্র ১০ রান যোগ করেই শেষ হয় অজিদের ইনিংস।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নিরপদেই হেঁটেছে পাকিস্তান। আর তাতে ম্যাড়ম্যাড়ে টেস্টটায় শুধু রেকর্ডের পাল্লাই ভারী হয়েছে। দুই পাকিস্তান ওপেনার মিলে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ধৈর্যর সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিয়েছেন। ড্র মেনে নিয়ে খেলা যখন শেষ হচ্ছে, কোনো উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তানের স্কোরকার্ড দেখাচ্ছে—২৫২ রান।
সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুই ওপেনারই। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছেন ইমাম-উল হক। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গী আবদুল্লাহ শফিক ১৫ চার আর এক ছক্কায় ১৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমাম।