২ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছিল ১১০ রান। ইনিংসের ২৮তম ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৮। দুই অবস্থাতেই মনে হয়েছিল আড়াই শ পেরোনো স্কোর গড়বে বাংলাদেশ। বেশ উত্থান-পতনের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ দল আড়াই শ পেরোতে না পারলেও অলআউট হওয়ার আগে তুলেছে ২৪৮ রান। অর্থাৎ জয়ের জন্য দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৯ রানে লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্কোরে বড় অবদান ওপেনিংয়ে পারভেজ হোসেন ইমনের ৬৭ এবং মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয়ের ৫১ রানের ইনিংসের। ফিফটি না করলেও হার না মানা ৩৩ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ইনিংসকে আড়াই শর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশ ইনিংসের। দলীয় ১০ রানে ব্যক্তিগত ৭ রান করে বিদায় নেন তানজিদ তামিম। এরপর অবশ্য পারভেজ হোসেন ইমান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৫ বলে ৬৩ রানের জুটি। তাঁরা যখন উইকেট ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল বড় একটা ইনিংসের ভিতই পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু হতাশ করলেন শান্ত, অহেতুক বাজে শট খেলতে গিয়ে উইকেটে দিয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক।
বোলার চারিত আসালাঙ্কার শর্ট বলে ব্যাকফুটে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন। ঠিকঠাক মতো হয়নি। মাহিশ তিকশানাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। এরপর হৃদয়ের সঙ্গে ইমনের ৩৭ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙে ইমনের বিদায়ে। শ্রীলঙ্কার ভীতি জাগানিয়া স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলি ঠিকমতো বুঝতে পারেননি ইমন। বোল্ড হয়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ৬৯ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি ৬টি চারর ও ৩টি ছয়ে সাজানো।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিটি আসে ষষ্ঠ উইকেটে; জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয় যোগ করেন ৪৫ রান। বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জানিয়ে জাকের ২৪ রানে আউট হয়ে গেলেও তাওহীদ হৃদয় করেন ৫১ রান।
এই ইনিংসের সুবাদেই হৃদয় ওয়ানডেতে এক হাজার রানের মাইলফলকে পা রেখেছেন। বাংলাদেশের ২৫তম ব্যাটার হিসেবে ১০০০ রান করলেন তিনি। হাজার রান করতে ৩৩ ইনিংস খেলতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর চেয়ে কম ইনিংসে হাজার রান করার কৃতিত্ব শুধু দুজনের, শাহরিয়ার নাফিস (২৯) ও এনামুল হকের (২৯)।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের রান যে আড়াই শ ছুঁই ছুঁই তাতে অবদান আছে দুই টেল এন্ডার তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমানের। মোস্তাফিজ ৭ বল খেলে একটি রানও করেননি। কিন্তু তাঁকে নিয়েই শেষ উইকেট জুটিতে ২৪ বলে ৩০ রান যোগ করেন তানজিম সাকিব। মোস্তাফিজ রানের খাতা খুলতে না পারলেও ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তানজিদ সাকিব।
বল হাতে সবচেয়ে সফল আসিতা ফার্নান্দো; ৩৫ বলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।