পার্থ টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিং করে কেবল ২ রান করেন উসমান খাজা। চোট পেয়ে এরপর ম্যাচ থেকে ছিটকে যান। চোটের শঙ্কা কাটিয়ে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা পেয়েছেন এই ব্যাটার। তবু স্বস্তিতে নেই ৩৮ বছর বয়সী খাজা।
পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের ফল এসেছে মাত্র দুই দিনে। দুই দল মিলে খেলেছে ৮৪৭ বল। ৯৩ বছরের মধ্যে এত কম সময়ে এই ভেন্যুতে টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনা হয়েছে পার্থের পিচ নিয়ে। ম্যাচজুড়ে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। তাতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে দুই দলের ব্যাটারদের। দুর্দান্ত সব বাউন্স এবং পেসে ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা। পেসাররা একচেটিয়া সাহায্য পাওয়ায় পার্থের পিচ নিয়ে সমালোচনা করেছেন খাজা। প্রথম টেস্টের পিচকে রীতিমতো ‘বাজে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
খাজার এই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেনের গ্যাবায় শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, তার আগেই খাজার সঙ্গে বসবেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা। সেখানে এই ওপেনারের কাছে ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। সেই ব্যাখ্যা যৌক্তিক না হলে শাস্তি পেতে পারেন খাজা।
উসমান খাজা ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করতে গিয়ে খাজা বলেন, ‘পার্থ টেস্টের প্রথম দিন ১৯ উইকেট পড়েছে। সেদিন ২০ জন ব্যাটার বল লেগে ব্যথা পেয়েছেন। গত বছর ভারতের বিপক্ষে টেস্টেও এখানে একই ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দিনেই বল উল্টাপাল্টা হচ্ছিল। আমাদের সেরা ব্যাটার স্মিথ অনেক শট মিস করেছেন। তাই বলতেই হচ্ছে, পার্থ টেস্টের প্রথম দিনের পিচ খুবই বাজে ছিল।’
মাত্র দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার পরও পার্থের উইকেটকে ‘খুবই ভালো’ রেটিং দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। কিন্তু আইসিসি এবং সিএ’র তোয়াক্কা না করে পিচকে বাজে বলে মন্তব্য করে নতুন সমালোচনার জন্ম দিলেন খাজা। সেটা কোথায় গিয়ে শেষ হয় সেটাই দেখার।