সময়টা এমনিতেই ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। কোচ জাবি আলোনসোর চাকরি ঝুলছে সুতোয়। এমন অবস্থায় আরও একটা বিপজ্জনক ঘটনা প্রায় ঘটেই গিয়েছিল রিয়ালের সঙ্গে। তবে কোপা দেল রের রাউন্ড অব ৩২-এর ম্যাচে তৃতীয় স্তরের দল তালাভেরার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জিতেছে আলোনসোর দল।
কোপা দেল রের রাউন্ড অব ৩২-এর ম্যাচে গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথেয়তা দিয়েছে তালাভেরা। রিয়াল এই ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতে কেটেছে শেষ ষোলোর টিকিট। লস ব্লাঙ্কোসদের বাঁচিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করে এমবাপ্পে এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এ বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ৫৮ গোল করেছেন এমবাপ্পে। আর দুই গোল করলেই ফরাসি ফরোয়ার্ড পেছনে ফেলবেন রোনালদোকে। রিয়ালের জার্সিতে এক বছরে সর্বোচ্চ ৫৯ গোলের রেকর্ড এখনো রোনালদোর। ২০১৩ সালে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন।
তালাভেরার বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল উপহার পায় রিয়াল। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ২ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন তালাভেরা ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল ফারান্দো স্তিপোভিচ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষভাগে এসে খেলা জমে ওঠে। ৮০ মিনিটে নাহুয়েল আরোয়ো মাজোরার গোলে ব্যবধান কমায় তালাভেরা। ৮৮ মিনিটে এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোলে রিয়াল ৩-১ গোলে এগিয়ে যায়।
৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে তালাভেরার গঞ্জালো দি রেঞ্জো গোল করে ব্যবধান কমান। রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে গড়াত। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ শেষে এমবাপ্পেকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আলোনসো।সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ বলেন, ‘এমবাপ্পের গোলটাই পার্থক্য করে দিয়েছে। গোলের প্রতি কিলিয়ানের যথেষ্ট তৃষ্ণা রয়েছে। তৃতীয় গোলটাই পার্থক্য করে দিয়েছে। সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একারণেই তাঁকে খেলাই আমরা।’
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে ২৩ ম্যাচ খেলেছেন এমবাপ্পে। ২৮ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ৫ গোলে। এ বছর রিয়ালের একটা মাত্র ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেভিয়ার বিপক্ষে লা লিগায় পরশু মুখোমুখি হবে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লা লিগার রিয়াল মাদ্রিদ-সেভিয়া ম্যাচ। ২০২৫-২৬ মৌসুমের লা লিগায় ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে রিয়াল। সমান ম্যাচ খেলে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই এমবাপ্পের রিয়ালের হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।