হামজা চৌধুরী যোগ হওয়ায় বেড়েছে জাতীয় ফুটবল দলের শক্তি। বেড়েছে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডভ্যালুও। এক সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরেই সমর্থকদের মধ্যে বইছে তুমুল উন্মাদনা। বাফুফেও পাচ্ছে একের পর এক পৃষ্ঠপোষক। শুধু হামজা নন, সব ঠিক থাকলে সেই ম্যাচে খেলবেন দুই প্রবাসী শমিত শোম ও ফাহামিদুল ইসলামের মতো উন্নত লিগে খেলা দুই ফুটবলার।
১০ জুন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে দেশের ফুটবলে উৎসবের আমেজ। তৈরি হয়েছে নবজাগরণ। ১০ জুন মাঠের খেলায় দারুণ কিছু যদি হয়, মাঠের বাইরে যে উৎসব-উৎসব আবহ, দেশের ফুটবলকে দিতে পারে নতুন দিনের সন্ধান। সিঙ্গাপুর ম্যাচের দল ঘোষণা করার কথা আগামীকাল। সেই দলে যে হামজা-শমিত ফাহামিদুলরা থাকবেন তা অনুমিতই।
ইতালি থেকে পরশু দেশে আসছেন ফাহামিদুল। হামজা ও শমিতের যোগ দেওয়ার কথা ৪ জুন ভুটান ম্যাচের আগেই। হামজার সময়টা অবশ্য ভালো যাচ্ছে না। শেফিল্ড ইউনাইটেডকে প্রিমিয়ার লিগে তুলতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবে এর প্রভাব নিশ্চয়ই সিঙ্গাপুর ম্যাচে পড়বে না! জাতীয় দলের খেলা যে ভিন্ন। হামজার ঢাকায় আসার কথা ২ জুন। তবে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আসার কথা, সবার প্রত্যাশিত ফ্লাইট নিশ্চিত হয়নি এখনো। বাফুফে সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে অবশ্য জানিয়েছেন, হামজাকে ভুটানের বিপক্ষে পেতে আশাবাদী তাঁরা।
কানাডা-প্রবাসী শমিত এখন ব্যস্ত ক্লাব ফুটবল নিয়ে। ১ জুন তাঁর ক্লাব কাভার্লি এএফসির ম্যাচ আছে। এই ম্যাচ খেলেই ঢাকার ফ্লাইট ধরবেন তিনি। তাঁর ঢাকায় পা রাখতে রাখতে ৩ জুন হয়ে যেতে পারে। যদি কাঙ্ক্ষিত ফ্লাইট পেতে দেরি হয়, ৪ জুনও লেগে যেতে পারে তাঁর ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে। শমিতের ভুটানের বিপক্ষে তাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচে তিন তারকা ফুটবলারকে এক সঙ্গে দেখবে পুরো বাংলাদেশ, এ আশা করাই যায়। যেদিন নতুন এক সূচনা হতে পারে দেশেরই ফুটবলের।