লেস্টার সিটির দুজন কর্মকর্তা ঢাকায় এসেছেন হামজা চৌধুরীকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানাতে। নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে তাঁদের অল্প বিস্তর ধারণা দিয়ে রেখেছিলেন হামজা। যদিও শুরুতে বিশ্বাস করতে দ্বিধা হচ্ছিল। ঢাকায় পা রাখার পর সেটা হাওয়া মিলিয়ে যায়। আজ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় দেখাটা তাঁদের কাছে অভূতপূর্ব লাগার কথা।
জয়টা যে হামজার কাছেও অনন্য। শেখ মোরসালিনের গোলে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে ১-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ হারালেও বড় নায়ক হিসেবে হামজার নামই নিতে হবে সবার আগে। মাঠের সর্বত্র নিজের দ্যুতি ছড়িয়ে এক মাস্টারক্লাস উপহার দিয়েছেন তিনি। এনে দিয়েছেন ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর আনন্দ। সেই আনন্দ কি ছাড়িয়ে গেছে লেস্টার সিটির হয়ে ২০২০-২১ মৌসুমে এফএ কাপ জেতার মুহূর্ত।
হামজা অবশ্য সোজাসুজি উত্তর দিলেন না। তবে ভারতের বিপক্ষে পাওয়া জয়কে কোনোভাবে ছোটও করেননি। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে তো অবশ্যই এগিয়ে। আজ ১৮ কোটি মানুষকে আমরা খুশি করেছি। বিশ্বের আর কোথাও এটা তুলনা করা যায় না। তাই হ্যাঁ, এটা এফএ কাপ জয়ের সমতুল্যই বলা যায়।’
হামজা আরও বলেন, ‘আমরা আগের ম্যাচগুলোর মতো শেষ মিনিটে ম্যাচ হারিনি বা পয়েন্ট হাতছাড়া করিনি, কারণ আমরা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করেছিলাম যে সবাই একসঙ্গে থাকলে আমরা পরিস্থিতি সামলে নিতে পারব। আমি খুবই খুশি, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য, সব খেলোয়াড়দের জন্য এবং স্টাফদের জন্য। এই ফলাফলের পেছনে এত কাজ করা হয়েছে যে এই দল এমন বড় কিছুর যোগ্যই ছিল।’