হোম > বিজ্ঞান

দর্শন ও বিজ্ঞানের দুই দিকপালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

কার্ল মার্ক্স ও স্টিফেন হকিং। ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৪ মার্চ। সমাজ, দর্শন ও বিজ্ঞানের দুই দিকপালের আজ মৃত্যুবার্ষিকী—একজন বিখ্যাত দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক বিপ্লবী কার্ল মার্ক্স এবং অন্যজন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, কসমোলজিস্ট স্টিফেন উইলিয়াম হকিং।

মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের একজন কার্ল মার্ক্স। ১৮১৮ সালের ৫ মে জার্মানিতে জন্ম নেওয়া এই মহামানব মৃত্যুবরণ করেন ১৮৮৩ সালের আজকের এই দিনে। সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে অসাধারণ সব তত্ত্ব দিয়েছেন এই দার্শনিক, যা পরে তাঁর অনুসারীদের মধ্যে মার্ক্সবাদ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

মার্কসের মতে, পৃথিবীর ইতিহাস মূলত শ্রেণিসংগ্ৰামেরই ইতিহাস। শ্রেণিসংগ্রামের ভেতর দিয়ে মানবসমাজ বিকশিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তাঁর তত্ত্বে উঠে এসেছে শ্রমিকশ্রেণির বঞ্চনা ও শোষিত হওয়ার কথা, যার জন্য তিনি দায়ী করেন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থাকে। মার্ক্স বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে শ্রমিকশ্রেণি যে পরিমাণ ‘নতুন মূল্য’ (সারপ্লাস ভেল্যু) সৃষ্টি করে, তার খুব সামান্যই মজুরি বাবদ দেওয়া হয় তাঁদের, লভ্যাংশের প্রায় সবটুকুই আত্মসাৎ করে ফেলে মালিকশ্রেণি।

মার্ক্স মনে করেন, এই বৈষম্যের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামে নামবে মজলুম শ্রমজীবী শ্রেণি। তাঁর মতে, শ্রমজীবী শ্রেণির ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র বিপ্লব ছাড়া পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার অবসান ঘটানো সম্ভব নয়।

মার্ক্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোর মধ্য রয়েছে, ডাস ক্যাপিটাল বা পুঁজি এবং ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো বা কমিউনিস্ট ইশতেহার।

এ ছাড়া, আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করা আরেক ব্যক্তিত্ব স্টিফেন হকিং। তিনি ১৯৪২ সালের ১৪ মার্চ যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে বিশ শতকের অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাবিশ্বতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল কসমোলজি) প্রধান ছিলেন। মূলত আইনস্টাইনের বিভিন্ন তত্ত্বকে আরও সম্প্রসারিত করেছেন হকিং।

মাত্র ২২ বছর বয়সে বিরল মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এই রোগের কারণে শরীরের যেসব শিরা মাংসপেশিকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলো ধীরে-ধীরে অকেজো হয়ে যেতে থাকে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানোর ক্ষমতা তিনি হারিয়ে ফেলেন। এমনকি কথা বলতেও রোবটের সহায়তা নিতে হতো তাঁকে। তবে, সেই প্রতিবন্ধকতাকে কোনো বাধা হতে দেননি তিনি।

নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক হকিং বলেছিলেন, ‘যারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তাদের প্রতি আমার উপদেশ হলো, তুমি এমন কাজের প্রতি দৃষ্টি দাও যেখানে ভালো করতে হলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা তৈরি করবে না। মানসিক দিক থেকে তুমি কখনো প্রতিবন্ধী হবে না।’

পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম এই দিকপাল ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন।

কক্ষপথে স্যাটেলাইট সংঘর্ষের ঝুঁকি নিয়ে বিজ্ঞানীদের ‘ক্র্যাশ ক্লক’ সতর্কতা

ইতালির পার্কে মিলল ২১ কোটি বছর আগের হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের ছাপ

জোট বেঁধে শিকার ধরতে ছুটছে কিলার হোয়েল ও ডলফিন, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা

ফ্রান্সে সমুদ্রতলে কিংবদন্তির শহর, ৭০০০ বছর আগের বিশাল প্রাচীরের সন্ধান

পূর্বের ধারণারও সাড়ে ৩ লাখ বছর আগে মানুষের আগুন জ্বালানোর প্রমাণ মিলল

২০০ শিশুর জন্মের পর জানা গেল দাতার শুক্রাণুতে ছিল ক্যানসারের জিন

মঙ্গল গ্রহে প্রথমবারের মতো বজ্রপাত শনাক্তের দাবি

কৈশোর থামে বত্রিশে, বার্ধক্যের শুরু ছেষট্টির পর—চিহ্নিত হলো মস্তিষ্কের ৫ পর্যায়

ভূমিকম্পের পর্যায়ক্রম: ফোরশক, মেইনশক ও আফটারশক কী

প্রাণীদের প্রথম চুম্বন ২ কোটি ১০ লাখ বছর পুরোনো