সম্প্রতি বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধায় গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে যেভাবে বাধা ও উসকানি দেওয়া হয়েছে, তা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ সরকার এখন এক গণ-আতঙ্কে ভুগছে। আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে গণতন্ত্র মঞ্চের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জোটের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ সভা, সমাবেশ ও মিছিলেও তারা বেসামাল হয়ে পড়ছে। এখনো তারা যে দমন করেই গদি টিকিয়ে রাখতে চায় তা-ও পরিষ্কার। এ কাজে প্রশাসনকে তারা দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করতেই যে তৎপর জোটের এই রোডমার্চের ঘটনাবলিও তা আরেকবার প্রমাণ করেছে।
সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের এত সব বাধা, হামলা, আক্রমণ, উসকানি ও ত্রাস সৃষ্টির পরেও রোডমার্চের পথে পথে আমরা মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন, সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন অবসানে তারা তাদের মরিয়া লড়াইয়ের মনোভাবের বার্তা দিয়েছে। মানুষ অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, ভোটের অধিকার হরণকারী গায়ের জোরে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা এই সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়। জনগণ কোনোভাবেই আর এই সরকারকে নিতে পারছে না। মানুষ যে এবার সত্যিকারের একটা পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে তা-ও স্পষ্ট বোঝা গেছে। মানুষের এই অনমনীয় মনোভাব ও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে গণতন্ত্র মঞ্চ আন্দোলন এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ দিকে রোডমার্চে বাধা ও হামলা-আক্রমণের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ। ঢাকায় বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-সংকট সমাধানের দাবিতে ১৯ জুন বেলা ১১টায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভের কর্মসূচিও ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্যরা।