রমজানেও বর্তমান সরকার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন করছে। সরকারি দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে এই সরকারের বিদায় ছাড়া মুক্তির আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সীমাবদ্ধতায় রোজার মধ্যে আন্দোলনের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা না গেলেও ঈদের পর এই সরকারকে বিদায়ের লক্ষ্যে কার্যকর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘একজন জাকির হোসেন এবং বাংলাদেশ সরকার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘রোজার পরে একটা কার্যকর আন্দোলন করা হবে। শেখ হাসিনা বলেছে রমজান মাসে আন্দোলন মানুষকে কষ্ট দেয়। কিন্তু আমি বলছি, কষ্ট দেওয়ার জন্য যদি কোনো মামলা হয় তাহলে সেই মামলার ১ নম্বর আসামি শেখ হাসিনা হবে। রোজার পরে যে আন্দোলন করা হবে তাতে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে।’
বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় জানিয়ে মান্না বলেন, ‘সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় এখান থেকে শুরু হয় লুটপাট আর দুর্নীতি। এ সরকারের হাতে কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। ভোটও নিরাপদ নয়। এই যে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তারা নাকি সংলাপ করার জন্য ডাকেনি। তারা ডেকেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। এটা হচ্ছে শুধুই ইতরামি। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না।’
সরকারের অবহেলার কারণেই বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে কেউ কেউ বলছে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার লোকের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন মেয়র বলছে আমাদের কোনো দায় নেই।'
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে হত্যা করা হয়েছে, বলা হয়েছে মাথায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বানানো যায় এবং এই রিপোর্ট তারাই বানিয়েছে। এ সরকার হলো খুনির সরকার।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টা এস এম আকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।