বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ ও নির্বাচন যেন না হয় তার জন্য পরিকল্পিতভাবে মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির যে রক্ত দিয়েছে তা অপূরণীয়। তাই, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, স্লোগান দিচ্ছেন, তারা বুঝে-শুনে কথা বলবেন।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু অভিযোগ করেন, ‘চাঁদপুরে মসজিদে ইমামের ওপর হামলা, খুলনায় সাবেক যুবদল নেতা হত্যা—সবই নির্বাচন বানচাল ও দেশে গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়, তার জন্যই ঘটানো হচ্ছে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘মিটফোর্ডে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
দুদু বলেন, ‘যে ছেলেটি নিহত হয়েছে সে যুবদলের কর্মী। তাঁকে উদ্দেশ্য করে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে, যাতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ না হয়। নির্বাচন যেন না হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি দলের নেতা বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ নেই। যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্রের পক্ষে না।’
দুদু বলেন, ‘অনেকেই বলে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তারা বাধা দেবে। বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্র পতনের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেটি যদি না হয় তাহলে যারা বাধা দেবে তাদের নাম ইতিহাসে লেখা থাকতে হবে স্বৈরাচারের দোসর বলে।’
দুদু বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের বলব—বুঝে-শুনে কথা বলবেন। এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির যে রক্ত দিয়েছে, তা অপূরণীয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বর্তমানে স্বৈরতন্ত্রের হাতে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনে’র সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, উন্মুক্ত গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি রমিজ উদ্দিন রুমী প্রমুখ।