নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিসন্ধি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এমনটা করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা এ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ, যেকোনো মুহূর্তে জনগণের প্রবল স্রোত সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেই।’
গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সোহরাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি নেতা কর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করা এখন সরকারের টিকে থাকার উপায়। সরকার এখন বেপরোয়াভাবে বিএনপির নেতা কর্মীদের আটক করে জেলখানা পূর্ণ করছে। আইন আদালতেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। আইন আদালতকে কবজায় নিয়ে সরকার দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করছে।
দেশের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে, রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়েছে। চারদিকে হাহাকার উঠেছে। তাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্বিচারে ব্যবহার করছে শাসকগোষ্ঠী। সরকারের হুকুমেই আইন-আদালত-প্রশাসন ওঠবস করে। উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত সোহরাব উদ্দিন বিদেশে থাকাকালীন গাজীপুরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ আজ আওয়ামী স্বৈরশাসনে এক বৃহত্তর বন্দীশালা। বিএনপিসহ বিরোধী মতের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক অসত্য মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিরুদ্দেশ গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য কেউ যেন আন্দোলন করতে সাহসী না হয়। তবে তৃণমূল থেকে মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। সরকারের অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা এখন রুখে দাঁড়াচ্ছে।