আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রক্ষীবাহিনী তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। ’৭৫-এ বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এবারও তারা ক্ষমতায় এসে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। আমরা যখন এর প্রতিবাদ করতে যাই, তখন যত রকমের নগ্ন ব্যবস্থা, খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হামলা মামলা দিয়ে দাবিয়ে রাখে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার সাংবিধানিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে গণতন্ত্র না থাকা লজ্জাজনক উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই দেশে গণতন্ত্র না থাকাটা লজ্জাজনক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে না পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না, তারেক জিয়াকে দেশে আনতে পারব না। দেশে যত অন্যায় অপরাধ হচ্ছে তার থেকে মুক্তি পেতে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে। মানুষকে নিজ হাতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে, ইভিএমে নয়।’
বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা উঠে গেছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার ছয় শতাধিক মানুষকে গুম করেছে। হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। আমরা দেখি অনেকে হত্যার শিকার হলেও তাদের পরিবার বিচার চায় না। তারা বলে, কার কাছে বিচার চাইব?’
সাংবিধানিক অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান সুরঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডাকসুর সাবেক জিএস এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।