জনগণের ওপর দুর্নীতি ও লুটপাটের ভার চাপিয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায়ের প্রধান দায়িত্ব বিএনপির ওপর পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ সোমবার ১০ দফাসহ বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলের আগে সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন। সমাবেশ থেকে ২৫ জানুয়ারি দেশের মহানগর ও জেলায় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্প করে মেগা দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে। সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাটের ভার জনগণের ওপর পড়েছে। এ দেশের মানুষের আওয়াজ—এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিএনপির ওপর প্রধান দায়িত্ব। বিএনপিকে দায়িত্ব নিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, সরকার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে বিদায় করা হবে।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে সমাবেশে বক্তব্য দেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি। আর সহ্য করার সুযোগ নাই। তারা বেগমপাড়ায় বাড়ি বানাবে আর দেশের মানুষ কষ্ট করবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। তাই ফায়সালা করতে হবে রাজপথে। একবেলা ভোট হলেও বিএনপি জিতবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট ও দেশের তহবিল চুরির অভিযোগ এনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পকেট কেটে এই টাকা ভোট চোরদের পকেটে চলে যাচ্ছে। তারা ভোট চুরি করে, দেশের তহবিল চুরি করে। তারা জনগণের তহবিল চুরি করে যাচ্ছে। বিদেশে পাচার করছে।
‘তাদের চুরির জন্য দেশের মানুষকে বিদ্যুতের উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আন্দোলনের মালিকানা জনগণের হাতে চলে গেছে। এই আন্দোলন দমানোর সুযোগ নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ আর ২০২২ এক নয়। আর কোনো ভোট চুরির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। জনগণের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন হবে।’