‘সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোনো মানে হয় না’—অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ও জন-আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে চালক দল।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘ওদের (ভারত) কথায় চিন্তা করার দরকার নেই, দেশের মানুষের কথা ভাবুন। সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোনো মানে হয় না। সামনে রোজা আসছে, তাই আওয়ামী লীগের কোনো লোকজন যাতে সিন্ডিকেট না করতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন।’
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন ঝামেলা সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। দেশে অন্য ধর্মের মানুষ ভালো আছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এসব বলে কোনো লাভ নেই।’
এ সময় ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনারা (ভারত) দয়া করে সোজা হয়ে যান। বিজয় দিবস নিয়ে মমতা কী বলল, মোদি কী বলল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বিএনপি তিন সংগঠন আগরতলার উদ্দেশে লংমার্চ করেছে। ভারতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। গরিব হতে পারে কিন্তু মনটা বড়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরামে কফি খাচ্ছেন, পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে আসতেই হবে, বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। একদিনের জন্য হলেও আয়নাঘরে যেতে হবে। আপনি যদি দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠাতে পারেন, তাহলে আপনাকেও কাশিমপুর কারাগারে যেতে হবে।’
চালক দলের সভাপতি জসীম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন আমু, চালক দলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।