চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে অমানবিক, ন্যক্কারজনক ও সরকারের একরোখা নীতির বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন তিনি। চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে আলালের ভারত যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, চিকিৎসার জন্য ১২ জুন ভারত যাওয়ার পথে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সস্ত্রীক ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুমের ধারাবাহিকতায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ভারতে যেতে বাধা দিয়েছে। আলালকে বিমানবন্দরে যাতে বাধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে হাইকোর্টের অনুমতি এবং চিকিৎসার কাগজপত্র দেখানোর পরও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক বিষয় আমলে না নিয়ে আলালকে বিদেশ যেতে বাধা দিয়েছে। এতে আবারও প্রমাণিত হলো সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতাদের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আলালকে সুচিকিৎসায় বাধা দেওয়া বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর একটি জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজ।’
আরেক বিবৃতিতে বরগুনার আমতলীতে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকালে ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তারের ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। বিবৃতিতে অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ থেকে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের উচ্ছেদ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার। সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার কাজই নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় আমতলীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পুলিশ বিনা উসকানিতে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে মরণ কামড় দিতে শুরু করেছে। তবে এভাবে সর্বনাশা হিংসার আশ্রয় নিয়ে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জনগণ এখন সরকারের ভয়াবহ দুশাসন প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’