হোম > রাজনীতি

বিএনপিকে জাফরুল্লাহর কাছে পরামর্শ নিতে বললেন মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানায় জেএসডি।

আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নাম থাকলেও আসেননি বিএনপি মহাসচিব। এই নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে নানা কানাঘুষো হয়। অনেককে বলতে শোনা যায়, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির মনোমালিন্য চলছে। এর জেরেই জাফরুল্লাহ থাকায় অনুষ্ঠানে আসেননি বিএনপি মহাসচিব। জাফরুল্লাহর বক্তব্যেও বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও কথা বলেন। এ সময় তিনি জাফরুল্লাহর কাছ থেকে বিএনপিকে পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও মির্জা ফখরুল এক সঙ্গে যায় না’ এমন মন্তব্য করে মান্না বলেন, ‘একই আমন্ত্রণপত্রে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম লেখা। এই দুইটা জিনিস এক সঙ্গে যাবে নাকি? বহুদিন ধরে দেখছি, যায় না।’ মান্না বলেন, ‘এখন আমি জানি না ফখরুল কেন আসেন নাই। উনি অসুস্থতার কথা বলেছেন, হয়তো এ জন্যই আসেননি। যদি বা আসতেন, আমি বিএনপির নেতাদের বলছি আওয়ামী লীগ চলে গেলে, ভোট হলে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন? লড়াই যখন করছি সেই লড়াইয়ে যদি জনগণের অধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তার জন্য জাফরুল্লাহর পরামর্শ নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিএনপি প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিএনপির কথা বলতে চাই না। অনেকে মনক্ষুণ্ন হন। কারণ সত্য কথা হজম করার শক্তি খুব বেশি লোকের নাই। ভুল করলে আমিই করেছি। তার জন্য আপনাদের দুঃখ পাওয়ার কিছু নাই।’

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘অন্তত দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে এই দেশে কোনোক্রমেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যাবে না। কোনোক্রমেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জাতীয় সরকারে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিও থাকবে। হয়তো প্রতিনিধি শেখ রেহানাও হতে পারেন। আমি জানি না, এটা তাদের (আওয়ামী লীগ) ব্যাপার। আর অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবে। বিশিষ্ট দুই-চার জন নাগরিকও থাকতে পারে। তারা সত্যিকার অর্থে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করবে।’ 

অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিচারণ করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের সিলেটে অবতরণ

ভোর থেকে তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে জনস্রোত, ৩০০ ফুট লোকারণ্য

‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

তারেক আসছেন আজ, অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা

রাত ১২টার সময়ই কানায় কানায় পূর্ণ সংবর্ধনাস্থল

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনবেন ক্যাপ্টেন ইমামুল

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো সিয়ামকে: জামায়াত আমির