অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিচ্ছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ সোমবার এনসিপির একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি। সেখানে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আসিফ মাহমুদের দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির দুই ছাত্রনেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জোরালো আলোচনা চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামপন্থী দলের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী জোটে যোগ দিয়েছে এনসিপি।
আসিফ মাহমুদ গতকাল পর্যন্তও সিদ্ধান্তহীন ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি ঢাকা-১০ আসনে (ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ) মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। আজ বিকেল ৫টায় ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়।
তবে এনসিপির জামায়াতের জোটে যোগ দেওয়ার পর মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, তিনি এই এনসিপির সঙ্গে নেই। তিনি নির্বাচনে প্রার্থীও হচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
এনসিপির শীর্ষপর্যায়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আসিফ মাহমুদের যোগদানের বিষয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তাঁর জন্য দলে নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
এর আগে গুঞ্জন উঠেছিল, দুই ছাত্র উপদেষ্টা বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে লক্ষ্মীপুর-১ ও ঢাকা-১০ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করায় সেই সম্ভাবনা নাকচ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, আসিফ মাহমুদ গত ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পরে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ১০ ডিসেম্বর তাঁরা পদত্যাগ করেন এবং ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পদত্যাগ কার্যকর হয়।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে যোগ দিয়েছে এনসিপি। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে এবং আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই আমরা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমমনা দলগুলোর নির্বাচনী সমঝোতায় একমত হয়েছি। আমরা একত্রে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান জানান, দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করা আট দলের সঙ্গে এখন কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি এবং এনসিপি সম্পৃক্ত হয়েছে।
এই জোটে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিও যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।