বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেছেন, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগির দেশে ফিরবেন তিনি (তারেক রহমান)।
আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, আজ দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেরা খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে প্রশ্ন করেন তাঁর (খালেদা জিয়া) ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনকে। তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা উনাকে দেখেছেন। আজকেও ইউকে (যুক্তরাজ্য) থেকে উনাকে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ আসবেন এবং উনারা দেখবেন। দেখার পর উনাকে যদি ট্রান্সফারেবল মনে হয়, আমাদের যদি ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে, মেডিকেল বোর্ড মনে করে, তখনই উনাকে সেই যথাযথ সময়ে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের নেই।’
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তাঁর লিভারে সমস্যা, কিডনির কর্মক্ষমতা কমে গেছে, শ্বাসকষ্টসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর রাতে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে।
গত শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর শারীরিক অবস্থাকে ‘অত্যন্ত সংকটজনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরদিন শনিবার তিনি আরও বলেছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা বর্তমানে নেই।