সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, রাজপথে বিরোধী দলগুলোর যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা সরকারকে গদি থেকে না নামানো পর্যন্ত চলতে থাকবে। সরকারকে যেতে হবেই।
আজ শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারবিরোধী এক অবস্থান কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ‘সংসদের কফিনে পেরেক, আন্দোলন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে’ এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৭ জানুয়ারির আগে থেকেই বিরোধীরা লড়াইয়ে রাস্তায় আছে। বিরোধী দল আবার মিছিল শুরু করেছে, কর্মসূচি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের দিন খুব খারাপ। আরও খারাপ আসবে। অপেক্ষা করেন। খুব বেশি দিন লাগবে না।
দেশ ও মানুষের অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো বলে পাঁচ বছর থাকবে। এর অর্থ হলো—ওরা নিজেরাই বুঝতে পারছে না, আসলে কয়দিন থাকবে। সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তিন মাসের মধ্যে পেঁয়াজ ও চাল কেনার টাকা যদি গরিব মানুষের না থাকে, চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়ার টাকা যদি না থাকে, তাহলে এই সরকার চলবে কেমনে?
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যাকে দেওয়া হয়েছে, সেই ভদ্রলোক একেবারে নতুন। উনি এসে বললেন, সিন্ডিকেট সবকিছুর দাম বাড়ায়। এক সপ্তাহে সব সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেবেন। উনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিন সপ্তাহ পার হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী কি সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পেরেছেন? সিন্ডিকেট ভেঙেছে? জিনিসপত্রের দাম কমেছে? উনি পারেন নাই।
সংসদের কফিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেরেক মেরে দিয়েছেন উল্লেখ করে মান্না বলেন, এর মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক সবকিছু তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। সংসদে থাকবে সরকারি দল ও বিরোধী দল। কিন্তু এখন বিরোধী দল নেই। সামাল দিতে এখন অবশেষে বিরোধী দলের নেতা একজনকে বানানো হয়েছে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলম অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন।