হোম > মতামত > সম্পাদকীয়

জুতার মালা ও নির্বাচন কমিশন

সম্পাদকীয়

শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। অনেকের অনেক কথার মধ্যে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য নিয়েই আজ কথা হবে। তিনি বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’

আমাদের নির্বাচন কমিশন নিয়ে কত যে বিতর্ক রয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। সাবেক হলেও একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেবে, এক দুর্বৃত্ত তাঁর গালে জুতা দিয়ে আঘাত করবে, এটা কোনো সভ্য জগতের কাজ নয়। যারা এই অপকর্ম করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এটাও সত্য, এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকা অবস্থায় নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে সরকারের ইঙ্গিতে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে তা-ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেই অপরাধেরও বিচার হওয়া উচিত। তাই নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ যখন জুতার মালা প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন, তখন বুঝতে হয়, ভবিষ্যতে নতুন কোনো সিইসি যেন নিজের গলায় জুতার মালা পরানোর সুযোগ না করে দেন, তারও একটা পথ খুঁজে নেওয়ার দরকার আছে।

দুজন সিইসি কারান্তরালে আছেন, সে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার। সেই সঙ্গে যোগ করা দরকার, এ ধরনের কাজ সুযোগ পেলেই সিইসিরা করেছেন। স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তাদের শাসনামলে সিইসি হিসেবে বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ মাগুরা-২ উপনির্বাচনের মতো ন্যক্কারজনক এক নির্বাচন করেছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির আমলে সিইসি বিচারপতি এম এ আজিজকে নিয়েও ছিল বিতর্ক। এরপর আওয়ামী আমলের সিইসিদের কথা তো স্বয়ং নির্বাচন কমিশনারই মনে করিয়ে দিলেন। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যদি কারও আজ্ঞাবহ না হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করে, তাহলে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারে না।

নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে না সাজালে কি নির্বাচন কমিশনাররা ঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন? উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হওয়ার প্রধান শর্ত হলো, সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি না এবং থেকে থাকলে তা দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কি না, সেটাও তো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে বলে আশা করা যায়। সে নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেন পরবর্তীকালে অপমানিত না হন, বিচারের সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করার জন্য পুরো কমিশনকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই কমিশন একটি উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করুক, সেটাই জনগণের চাওয়া।

নির্বাচনী ব্যয়

খুলনার এক গোলমেলে ব্যাপার

একটি প্রত্যাবর্তন, বহু প্রত্যাশা

বড়দিনের শুভেচ্ছা

শিক্ষকের ক্ষমতা

ধরা হোক হামলাকারীদের

কী ভয়ংকর!

শান্তি এখন খুব প্রয়োজন

শান্ত হোন

সংযোগ সড়কহীন সেতু