লকডাউন শিথিলের কারণে ঈদের পর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। গত ১৪ দিনে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার ২–৩ শতাংশ যদি বেড়ে যায় তাহলে একই সময়ে ৪–৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হবে। ঈদের দু দিনের মাথায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। ফলে ঈদের পরদিনই মানুষকে কর্মস্থলে ফিরতে হবে। এতে করে একদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে, অন্যদিকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে।
বিত্তশালীদের কাছে বিষয়টি সহজ হলেও সাধারণ মানুষের রুটি–রুজির ব্যাপার। তাদের জন্য অনেক কঠিন। কর্মস্থলে না ফিরতে পারলে অনেকের চাকরি থাকবে না। সরকার যতই বলুক না, আমাদের দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা যে কর্মীবান্ধব, সেটি ভাবার সুযোগ নেই।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত হলো, লকডাউনের মাঝেই সংক্রমণ পরিস্থিতি যখন ভয়াবহতার শীর্ষ পর্যায়ে তখনই বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। এটি কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত পদ্ধতি হতে পারে না। সরকার একদিকে বিধিনিষেধ আরোপ করছে, অন্যদিকে অফিস–কারখানা খোলা রাখছে। এতে কোনো ফলই আসছে না। উল্টো সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হচ্ছে। এখন শেষ পর্যায়ে এসে শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তাহলে এত দিন কেন হলো না? সব মিলিয়ে ঈদের পর আমরা খুব জটিল পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশ করছি। দৈব কোনো ঘটনার সৃষ্টি না হলে খুব খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।
অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক