হোম > মতামত

দুই দিন ধরে এই দুর্ভোগ চলতে পারে না

অধ্যাপক এম এম আকাশ

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ জ্বালানি তেল আমদানি করে। তাদের আমদানি করা দামের ওপরে দেশে দাম নির্ধারণ হয়। সম্প্রতি তরল পেট্রোলিয়াম ও তরলীকৃত গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সে অনুযায়ী দেশের বাজারে দাম বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু তার একটি কর্তৃপক্ষ আছে, সেটি হলো বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

আমরা জানি, বাজারে ডিজেলের খুচরা দাম ৬৫ টাকা লিটার। এটা এক লাফে ২৩% বাড়ান হলো। এখন প্রশ্ন হলো, এক লাফে এতটা বাড়ান কোনো নীতিনির্ধারক সহজে করেন না। বিশেষ করে ডিজেলের ক্ষেত্রে করা ঠিক না। কারণ এটা অনেক প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রথমত কৃষি কাজে ও দ্বিতীয়ত পণ্য পরিবহন কাজে। কৃষির উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে শিল্পজাত পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। করোনার পরে মানুষ এমনতেই কষ্টে আছে। আর হঠাৎ করে দাম বাড়লে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে যারা ধর্মঘট ডেকেছে তাদের সঙ্গে সরকারের দ্রুত বসা উচিত ছিল। অথবা আগেই বসার দরকার ছিল। এ ছাড়া দাম বাড়ানোর আগে নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। এর কোনো কিছু হয়েছে কিনা, আমি জানি না। আর সরকারের উচিত ছিল ধর্মঘটকারীদের সঙ্গে বসে তাঁদের দাবি নিয়ে আলাপ আলোচনা করা। কিন্তু তা না করায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দুই দিন ধরে এই দুর্ভোগের বিষয়টা চলতে পারে না। এর সৎ উত্তর সরকার দিতে পারবে না। আমাদের দেশের সরকার মুক্তবাজার অনুসরণ করছে। কিন্তু দাম বাড়লে সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে সরকার বাড়াবে। কিন্তু দাম কমলে দাম কমাবে না। তাহলে তো মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলো না। 

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্র সংসদের কাজ গুন্ডামি করা নয়

ঘটনার ঘনঘটা নিয়ে বিদায় নিচ্ছে বছর

নির্বাচনী ব্যয়

খুলনার এক গোলমেলে ব্যাপার

এভাবে চলতে থাকলে কি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে

প্রবীণ জীবনে বন্ধুত্বের গুরুত্ব

সংকট, সম্ভাবনার সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ

একটি প্রত্যাবর্তন, বহু প্রত্যাশা

গণতন্ত্রের সন্ধিক্ষণ: তারেক রহমানের দেশে ফেরা

কেন পুড়িয়ে মারার মধ্যযুগীয় বর্বরতা