‘যুগোপযোগী, আধুনিক ও নিরাপদ একটি রেলব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে আমাদের উৎসাহিত করছেন। আমাদের প্রত্যেকের সুযোগ কাজে লাগিয়ে রেলের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।’ আধুনিক বিশ্বের মতো যুগোপযোগী ও আধুনিক রেলব্যবস্থা বাংলাদেশ এখনো গড়ে তুলতে পারেনি।
আজ সোমবার রেল ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর পরিকল্পনাহীনভাবে দেশ এগিয়েছে। প্রতিটা সেক্টরকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। রেললাইনে ছিল না কোনো ট্র্যাক, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কারখানা। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার রেলকে গুরুত্ব দিয়েছে। আলাদা মন্ত্রণালয় হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর উদারতার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন গরিব মানুষের বন্ধু। তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা কীভাবে দূর করা যায়, সেই চিন্তা সব সময় করতেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবিক। কীভাবে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়, সেটা তাঁর লক্ষ্য ছিল। এসবের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তিনি কখনো হঠকারী রাজনীতি করেননি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে কিন্তু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পেছন থেকে যারা হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে অর্থাৎ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। কারণ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো সক্রিয় আছে। বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, এটা অনেকেই চায় না।
বিএনপির সমালোচনা করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যত দিন বেঁচে ছিলেন, নিজে কখনো দাবি করেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বা স্বাধীনতার ঘোষক। পরবর্তী সময়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য এগুলো আনা হয়েছে। তা ছাড়া, যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার হয়, এই বিচার যেন না হয় তার জন্য খালেদা জিয়া বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন। মিছিল–মিটিং করেছেন। এতে প্রমাণ করে বিএনপি নামে একটি রাজনৈতিক দল, তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথসচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের (মহাপরিচালক) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ রেলওয়ের অন্য কর্মকর্তারা।