ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১০টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে পুনঃ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য অঞ্চলভিত্তিক ১০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীরের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন এর আগে মাঠপর্যায়ের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তার দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য/মতামতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপূর্ণতা, যথাযথ মন্তব্যের ঘাটতি পায়। তাই যাচাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দলগুলো হলো আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি।
এই দলগুলোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার জন্য ১০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফরিদপুর, ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ৩০ জন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে।
ইসি নতুন দলের নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিলে ১৪৩টি দল আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই উত্তীর্ণ হতে না পারলে সব দলকে ঘাটতি তথ্য পূরণ করার সময় দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১২১টি দলের নিবন্ধনের আবেদন বাতিল করে ইসি। পরে ২২টি দলের কার্যক্রম ও অস্তিত্ব খতিয়ে দেখতে মাঠপর্যায়ে তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে আরও ৭টি দলের আবেদন বাতিল করে ইসি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নামের দুটি দল ইসির নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
এ ছাড়া একটি দলের বিষয়ে আদালতের রায় পর্যালোচনা ও দুটো দলের সচিবালয় পর্যায়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়। বাকিগুলোর মাঠপর্যায়ে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।