হোম > জাতীয়

আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এ বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত মো. আমির হামজার মনোনয়ন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে সরকার। প্রয়াত এই ব্যক্তি হত্যা মামলায় দণ্ডিত হওয়া এবং তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে সমালোচনার মুখে তাঁকে মনোনয়নের পুরো প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত মঙ্গলবার এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে। সেখানে মরহুম আমির হামজাকে সাহিত্যে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই আমির হামজাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। লেখক-সাহিত্যিকেরা আমির হামজার সাহিত্যকর্ম নিয়ে অবগত না থাকার কথা জানান। 

সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত সচিব কমিটিতে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা চূড়ান্ত করে। এই কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। 

এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তাঁর বিষয়ে আমরা এখনো নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে তাঁর কী কী সাহিত্যকর্ম আছে না আছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। তাঁর পক্ষে যেসব তথ্য-উপাত্ত কমিটিতে জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো যাচাই করা হবে। মার্ডারের (হত্যা) বিষয়ও এখন উঠে এসেছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

 ৮৭ বছর বয়সে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মারা যান আমির হামজা। এই মরমি গায়ক গান লিখতেন। ঘুরেফিরে তাঁর তিনটি বইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে মাগুরার শ্রীপুরের সারথি ফাউন্ডেশন ‘বাঘের থাবা’, বাঘের থাবা বইয়ের গানের অংশ নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ এবং ‘একুশের পাঁচালি’ নামে আমির হামজার বই প্রকাশিত হয়েছে। 

আমির হামজার ছেলে মো. আসাদুজ্জামান সরকারের উপসচিব। তিনি তাঁর বাবার নাম এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ সেই প্রস্তাবে সুপারিশ করেন। 

স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আমির হামজাকে মনোনীত করার খবর প্রকাশের পর জানা যায়, তিনি মো. শাহাদাত হোসেন ফকির নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ওই খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই ঘটনায় আমির হামজা ও তাঁর ভাইসহ ছয়জনের কারাদণ্ড হয়। আট বছর জেল খেটে ১৯৯১ সালে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। 

এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য এস এম রইজ উদ্দিনকে মনোনীত করে সরকার। কিন্তু এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হলে রইজ উদ্দিনকে আর পুরস্কার দেয়নি সরকার। 

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীর দোষ স্বীকার

বিমানবন্দর-৩০০ ফুট-গুলশানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

আজ শুভ বড়দিন

পদত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী

জুলাই অভ্যুত্থানে চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের রায় ২০ জানুয়ারি

বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

তারেক রহমানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সরকার: প্রেস সচিব

ইন্টারনেট সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না—বিটিআরসি পাচ্ছে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন