দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করেছে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর। আজ সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংয়ে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুশ ইনের বিষয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সেনা কর্মকর্তারা।
সেনাসদরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে।
সম্প্রতি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রায় ৩০ হাজার ইউনিফর্ম (পোশাক) উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ দৌলা বলেন, ‘কেএনএফের পোশাক কোথায় এবং কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সে বিষয়ে সেনাবাহিনী খোঁজখবর নিচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।’
মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে আমাদের কোনো ধরনের ছাড় নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর শরীরে সামান্য পরিমাণ শক্তিও থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। যেকোনো মূল্যে।’
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ দৌলা বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সবচেয়ে জটিল সময়ে রয়েছে। মিয়ানমারের সরকার কার্যত বিলুপ্তপ্রায়, আর আরাকান আর্মি প্রায় পুরো রাখাইন স্টেট দখল করে নিয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে না কোনো কার্যকর সরকার রয়েছে, না আছে এমন কোনো অবস্থা, যাতে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সাম্প্রতিক সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে সেনাসদরের অপারেশন শাখার কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯টি গুলি উদ্ধার করেছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গত এক মাসে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১ হাজার ৯৬৯ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।