হোম > জাতীয়

সাধারণ ছুটির আগে মানুষ ঢাকা ছাড়ায় করোনার বিস্তার ঘটেছে: গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনা সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের ২৬ মার্চথেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেই সময়ে ২৩ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে ঢাকা ছাড়ে অসংখ্য মানুষ। ওই সময়ে ঢাকা ত্যাগের ফলেই সারা দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআর, বি এবং দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, ওই চারদিন মানুষের ঢাকা ছেড়ে যাওয়া করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক কারণ।

বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম থেকে সংগ্রহ করা ফেসবুক এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী ২৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে জনসাধারণের ঢাকা ত্যাগ করার প্রাপ্ত ডাটার সঙ্গে সার্স-কোভ-২ জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, মার্চ ২৩ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে ঢাকা বহির্মুখী যাতায়াতই মূলত দেশব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক কারণ। ৪ সেপ্টেম্বর ‘জিনোমিক্স, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড মোবাইল ফোন ডেটা এনাবল ম্যাপিং অব সার্স-কভ-২ লিনিয়েজেস টু ইনফর্ম হেলথ পলিসি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে গবেষণাপত্রটি নেচার সাময়িকীতে প্রকাশ হয়।

প্রাথমিকভাবে মার্চ-জুলাই ২০২০ অন্তর্বর্তীকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত ৩৯১টি করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস ঢুকার সম্ভব্য সময় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। পরবর্তীতে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার ঘটে।

গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, এপ্রিল ২০২১-এ কনসোর্টিয়াম নভেম্বর ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ এর মধ্যে সংগৃহীত আরও ৮৫টি সার্স-কোভ-২ নমুনা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৩০টি ছিল লিনিয়েজ বি.১. ১.২৫ (৩৫ %), ১৩টি ছিল আলফা ভ্যারিয়েন্ট (বি.১. ১.৭, ১৫ %), ৪০ টি ছিল বিটা ভ্যারিয়েন্ট (বি.১. ৩৫১,৪৭ %),১টি ছিল লিনিয়েজ বি.১. ১.৩১৫, এবং ১টি ছিল লিনিয়েজ বি.১. ৫২৫। প্রথম ঢেউয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণগুলোর ওপর ভিত্তি করে ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে-যেমন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, 'আমাদের এই কনসোর্টিয়াম বিভিন্ন সময়ে নীতিনির্ধারকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে সহায়তা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করা, পরিবহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং যেসব দেশে উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট ছিল সেখান থেকে আগত ভ্রমণকারীদের সাধারণ মানুষদের থেকে আলাদা রাখা, সময়মতো লকডাউনের সিদ্ধান্ত বা প্রয়োজনবোধে আন্তর্জাতিক চলাচল সীমাবদ্ধ করা।’

আইসিডিডিআর, বি-র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং এই গবেষণায় নেতৃত্ব প্রদানকারীদের একজন ডক্টর ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘অনেক প্রতিকূলতা এবং লকডাউনের সীমাবদ্ধতা থাকার পরও আমার সহকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক কোলাবোরেটরদের সহযোগিতায় আমরা সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমাদের দায়িত্ব এই গবেষণাতেই সীমাবদ্ধ নয়।’

এই গবেষণায় ফেসবুক ডেটা ফর গুড, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি আজিয়াটা লিমিটেড জনসংখ্যা মোবিলিটি তথ্য সরবরাহ করেছে। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সার্স-কোভ-২ নমুনার সিকোয়েন্সিং-এ সহায়তা করেছে।

তেজগাঁও বিমানবন্দরে এয়ার শো দেখতে জনস্রোত

বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

দুদকের তদন্ত: ৭ দেশে জাবেদের আরও ৬১৫ সম্পদের সন্ধান

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি