যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়, সেখানে ফাঁস করার সুযোগ খুব কম বলে দাবি করেছেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়, সেখানে ফাঁস করার সুযোগ খুব কম। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। যদি কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ মেলে, তাহলে আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ জানিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে অনেকে প্রশ্ন বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন এবং সেটিকে পিএসসির প্রশ্ন দাবি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সিআইডি থেকে কোনো প্রতিবেদন পাইনি, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাসপেন্ড লেটার তৈরি করা হয়নি। গ্রেপ্তার দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের সাসপেন্ড লেটার দেওয়া হবে।’
পিএসসির গাড়িচালক আবেদ আলীর বিষয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন নির্ধারণ ও সাপ্লাই করা হয়, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যেহেতু অনেকে জড়িত থাকেন, তাই শতভাগ নিশ্চিতভাবেও বলা যায় না।’
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্ম সচিব আব্দুল আলীম খানকে। আর কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদের দাবি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, তাই এই পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।