রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করা হয়।
আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’-এর আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এর আগে রাজধানীর পল্টন ময়দান, পুরানা পল্টন ও বায়তুল মোকাররমে কর্মসূচি পালন করলেও এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি।
এই সমাবেশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের রাজধানী শহরে আনা-নেওয়ার জন্য ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-সিরাজগঞ্জ—এই তিন রুটে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন রেল মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায়; যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এর প্রতিক্রিয়ায় আজ এই অনুমোদনের ব্যাখ্যা দিল রেল মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, যার সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল, যা রেলের আয় বাড়িয়েছে।
তা ছাড়া আগামীকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন যাত্রী চাহিদা তুলনামূলক কম থাকে এবং এসব ট্রেন সাপ্তাহিক অফডে থাকা রেক (একসঙ্গে সংযুক্ত একাধিক বগি) দ্বারা পরিচালিত হবে। ফলে নিয়মিত কোনো ট্রেনের যাত্রা বা সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
এতে আরও বলা হয়, বিশেষ ট্রেন না চালালে নেতা-কর্মীদের ভ্রমণে চাপে পড়ত নিয়মিত ট্রেন। বাড়ত বিনা টিকিটে ভ্রমণ, যা রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিত। ভবিষ্যতে যেকোনো রাজনৈতিক দলের আবেদন ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আগের নিয়ম অনুসরণ করে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানে বিভ্রান্তি ছড়ানো বা অপপ্রচারের কোনো সুযোগ নেই।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলের জনসভা বা কর্মসূচির জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। অতীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধের শর্তে বিশেষ ট্রেন চালানোর নজির রয়েছে।