হোম > জাতীয়

১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৮ হাজার

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

বিএনপির গণসমাবেশ শেষ হলেও দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকছে। সন্দেহভাজন অপরাধী ও পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতেই এই অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সারা দেশে ১ হাজার ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১০ দিনে এ সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার।

এদিকে কারাগারে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল রাজধানীতে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে সক্রিয় ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিশেষ অভিযান চলবে। গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোয় কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পরিচালিত অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের কারাগারের ধারণক্ষমতা ও বন্দীর সংখ্যা জানতে চেয়ে কারা অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে। বাংলাদেশ জেলের অধীনে বর্তমানে ১৩ কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ৫৫টি জেলা কারাগার 
রয়েছে। বাংলাদেশের কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৬২৬ জন। তবে সব সময় ৭০ থেকে ৮০ হাজার বন্দী থাকে। তবে গতকাল দেশের কারাগারে বন্দী সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার ৯৯০ জন।

কারা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, কারাগারে সব সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দীই থাকে। তবে শীতকালে বন্দীদের তেমন সমস্যা হয় না। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কারাগারে সব সময় ৮০ হাজারের বেশি বন্দী থাকে। বর্তমানেও ধারণক্ষমতার বেশি রয়েছে। এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

এদিকে, গতকাল রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী, চিটাগাং রোড, টঙ্গী এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছেন পুলিশের সদস্যরা।

বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে এ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ দাবি করেছে। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নাশকতা ঠেকাতে এই অভিযান চলছে। কাউকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে না। অভিযানে কাউকে আটক করা হয়নি।’

সারা দেশে পুলিশের অভিযান বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মঞ্জুর রহমান বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসসহ ডিসেম্বরের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের রুটিন অপারেশনের একটি অংশ। প্রতিবছরই এমনটা হয়ে থাকে। পুলিশ সদর দপ্তর জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে।’ 

আজ রাতে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ

৬ শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের ‘অতিরঞ্জিত’ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম আলো–ডেইলি স্টার কার্যালয় পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

মনোনয়নপত্রে সন্তানের আয়ের তথ্য দেওয়া ঐচ্ছিক—বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসির চিঠি

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হাদির খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দুই ভারতীয়কে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ: ডিএমপি

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী ভারতে পালিয়েছেন—জানাল ডিএমপি

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী