হোম > জাতীয়

কোনো দলকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করা যায় না: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি বিষয়ে নিজের মত জানিয়েছে ইসি। এতে ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবকে ‘যৌক্তিক’ বলে মত দিয়েছে ইসি। একই সঙ্গে নির্বাচনে আসতে কোনো দলকে বাধ্য করা যাবে না বলেও মত দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। আজ সোমবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। 

গত ১৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ে ইসির সঙ্গে সংলাপে দেশে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোটগ্রহণ পদ্ধতি, গণতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে এবং বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করে। এর মধ্যে কিছু প্রস্তাবের বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছে ইসি। নিজেদের এই মতামত আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান। 

এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ভোটে অংশগ্রহণ, ইভিএম, আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচনকালীন সরকার—এ চার বিষয়ে ইসির অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। 

ইসি জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চাইলেও যেকোনো দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে ইসি বাধ্য করতে পারে না। সে ধরনের কোনো প্রয়াস ইসি নেবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসামরিক বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা অপ্রতুল হতে পারে। এ কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবটি যৌক্তিক বলে মনে করে ইসি। 

ইভিএম নিয়ে ইসির মত হচ্ছে, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দলগুলোর যেমন আপত্তি আছে, তেমনি সমর্থনও রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে এখনো স্থির কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইসি। রাজনৈতিক দল ছাড়াও এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসি ভিন্নভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে। 

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মনে করে ইসি। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ে ইসির অধীনে ন্যস্ত করার বিষয়টি সংবিধানের আলোকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে দেওয়া ক্ষমতা সততা, সাহসিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ইসি। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বাক্ষরিত ‘ইসির সঙ্গে নিবন্ধিত দলগুলোর সংলাপ থেকে প্রাপ্ত মতামত ও পরামর্শ এবং কমিশনের পর্যালোচনা ও মতামত’ শীর্ষক এ সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, মতামতগুলো কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছে। রাজনীতিতে গণতন্ত্রের সুস্থ চর্চা প্রয়োজন বলে নির্বাচন কমিশনও অভিন্ন প্রত্যাশা পোষণ করে। এ অভিন্ন প্রত্যাশা ও এটি বাস্তবায়নে ইসি, সরকার, জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দলসহ সবার ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। 

গণমাধ্যমে পাঠানো এ সারসংক্ষেপের বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক বলেন, ‘ইসির নির্দেশনায় সংলাপে অংশ নেওয়া ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে অংশ নেওয়া ২৮টি দলকে তা পাঠানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছেও ইসির পর্যালোচনা ও মতামত পাঠানো হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গত, আরও দুটি রাজনৈতিক দলকে সেপ্টেম্বরের সংলাপে অংশ নেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি।

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মধ্যরাতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন হবে ঐতিহাসিক—নতুন এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, জানাল কাতার সরকার