প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনপ্রধান ভলকার তুর্ক। চিঠিতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনপ্রধান ভলকার তুর্কের ওই চিঠিতে তারিখ উল্লেখ আছে ‘১ নভেম্বর’। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের বাইরে প্রয়োজনীয় জরুরি এবং বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার জন্য আমি আপনার সরকারের কাছে তাঁর (খালেদা জিয়া) মুক্তির জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
আগামী জানুয়ারি মাসে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কোনো আটক কিংবা গ্রেপ্তার না করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। এ ধরনের কার্যকলাপ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তুর্ক।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ব্যাটলিং বেগমস’ নামে পরিচিত শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে তীব্র বিরোধই গত চার দশক ধরে ১৭ কোটি মানুষের দেশটির রাজনীতি প্রভাবিত করছে।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রধান উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে তিনি গৃহবন্দী।
গত মাসে তিন মার্কিন চিকিৎসক লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার সার্জারি করেন। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে জার্মানি নিতে পরিবারের আবেদন বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।