দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান বলেছেন, ‘পি কে হালদারকে দেশে আনতে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি লাগার কথা না। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে তখন কতদিন লাগবে সেটা এখনই বলা যাবে না। আর বাংলাদেশ হলো তাঁর অপরাধের উৎস। তাই তাঁর মূল বিচার হবে বাংলাদেশেই।’
আজ রোববার নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন খুরশিদ আলম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুরশিদ আলম বলেন, ‘পি কে হালদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর সঙ্গে কলকাতা-বাংলাদেশের কারা জড়িত সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন মূল কাজ হলো তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কেননা তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের ৩৭টি মামলা রয়েছে। তাঁকে ফিরিয়ে আনা যাবে, তবে একটু সময় লাগবে।’
খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘পি কে হালদারকে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। জানা যাবে, তাঁর সঙ্গে কারা জড়িত ছিল। কাকে কমিশন দিয়েছেন, কাকে ঘুষ দিয়েছেন, কীভাবে কাজ আদায় করেছেন এসব। তখন নিশ্চয় অনেক রাঘব বোয়ালও বেরিয়ে আসবে।’
এখনো পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করছে দুদক। তবে সঠিক পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। এটি নিয়ে তদন্ত শেষে কথা বলবে দুদক। এখনো তাঁর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের ৩৩টি মামলার তদন্ত চলমান বলে জানান খুরশিদ আলম।
পি কে হালদার সম্পর্কিত আরও খবর: