হোম > জাতীয়

জেল পালানো ৮৭ ফাঁসির আসামির হদিস নেই

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশের চারটি কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান দুই হাজারের বেশি আসামি। তাঁদের মধ্যে বড় একটা অংশ অবশ্য আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৮৯ বন্দীর মধ্যে ৮৪ জনই এখনো লাপাত্তা।

খোঁজ না পাওয়া এসব বন্দীর অধিকাংশই ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। পলাতক আসামি ও ফাঁসির আসামিদের ধরতে ইতিমধ্যে তালিকা ধরে অভিযানে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

অপরাধ নিয়ে কাজ করা কেউ কেউ বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ এসব বন্দী বাইরের সবার জন্যই হুমকির।

কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে ও পরে নরসিংদী, গাজীপুর হাই সিকিউরিটি, সাতক্ষীরা ও শেরপুর কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান ২ হাজার ১৪৯ জন বন্দী। তাঁদের মধ্যে নরসিংদী কারাগারের ৯ জন জঙ্গিসহ ৮২৬ জন, শেরপুর কারাগারের ৫১৮ জন, সাতক্ষীরার ৫৯৬ জন আর গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান ২০৯ বন্দী। মোট পালিয়ে যাওয়া আসামির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন পরে আত্মসমর্পণ করেছেন।

কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পালিয়ে যান ৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার ও একজন আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নিজে থেকে ফিরবেন না। পালিয়ে থাকা এসব বন্দীর প্রায় সবাই গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। তবে বাকি কারাগারগুলোতেও দু-একজন করে ছিলেন।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি জানান, তাঁদের কারাগারে দুজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যান। দুজনের মধ্যে একজন ফিরেছেন।

সার্বিক বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী নিজেরা ফিরে এসেছেন। যাঁরা আসেননি, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।

এদিকে গতকাল বুধবার ভোরে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হৃদয় ওরফে মানিককে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি জেলার সাটুরিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।

র‍্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট হৃদয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

এরপর গতকাল রাতেও পলাতক তিনজন ফাঁসির আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ হতে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। তাঁরাও গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পালিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ধর্ষ এসব বন্দীর যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। অন্যরা আত্মসমর্পণ করলেও তাঁদের না করার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁরা বাইরে থাকলে সেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। 

দুদকের তদন্ত: ৭ দেশে জাবেদের আরও ৬১৫ সম্পদের সন্ধান

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি

লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির