কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িত পাঁচ ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর সে সময় পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ সময় ছাত্ররাজনীতির নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কিছু শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা নষ্ট করছেন।
আদালতের রায়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে তিন দিনের মধ্যে নিরাপত্তা দিয়ে ফিরিয়ে এনে তাঁর পছন্দমতো হলে সিট বরাদ্দ করতে বলা হয়েছে। আর তদন্তের সময় সাক্ষ্য দেওয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।