সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, যেসব শিশুর পরিবারে খতনার বিষয় আছে, তারা শঙ্কিত। এই যে চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে দুটি শিশুর প্রাণ হারাল, সেটা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত আছে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহবুব-উল আলম হানিফ এ কথা বলেন।
দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা কেন হয়েছে, তা নিয়ে জাতি অবাক হলেও আমি কিন্তু বিস্মিত হই নাই। চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্ণধারকে নিয়ে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়, তার অনৈতিকতা নিয়ে, তার স্বজনপ্রীতি নিয়ে, তার নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে নানা লেখালেখি হয়, তখন চিকিৎসার ওপর মানুষরে আস্থা আস্তে আস্তে কমে যায় বা চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।’
হানিফ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আসছে। কেউ স্বজনপ্রীতির সঙ্গে জড়িত, কেউ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, এমনকি অনেক উপাচার্যের অডিও রেকর্ডও চলে আসছে গণমাধ্যমে, যারা নিয়োগের জন্য সরাসরি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য। এটা যদি সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে হয়, তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যৎ নীতিনৈতিকতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই থাকে না।’
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে। এখন প্রয়োজন এই উন্নয়ন ধরে রাখা। উন্নয় ধরে রাখার জন্য আমাদের সরকারের সামনে দেশের সামনে যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা মানুষের মধ্যে সততা, নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের দিকে জাতি চলে যাচ্ছে। এখান থেকে বের হতে পারলে উন্নয়ন ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’