নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অর্থ বিভাগের কাছে ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকা পরিশোধের চালান হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, অর্থ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো, আমাদের অহংকার, গর্ব, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩২৬০৫.৫২ কোটি টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
২০২২ সালে ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদাসলে পরিশোধ করা হবে।
এ ছাড়া সেতুর ডিটেইল ডিজাইনের জন্য এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ২টি ঋণ চুক্তির আওতায় ২ শতাংশ সুদে মোট ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিকে) ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা বছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ৬০টি কিস্তিতে সুদাসলসহ মোট ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩০ টাকা পরিশোধ করা হবে।
সপ্তম ও অষ্টম কিস্তিসহ পরিশোধিত মোট টাকার পরিমাণ ২৬২ কোটি ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৫৪৮ টাকা। এ ছাড়া, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ পরিশোধিত হয়েছে ২২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ২৬ জুন ২০২৪ পর্যন্ত সংগৃহীত টোলের পরিমাণ ১৬৫৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা।