আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার যুক্তিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার চলার সময় চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় আদালতের কার্যক্রম সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল। চিফ প্রসিকিউটর উল্লেখ করেন, সাইবার হামলাটি ঠিক সেই সময়ে ঘটে।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাইবার অ্যাটাকের কারণে ফেসবুক পেজটি সাময়িকভাবে ডিজেবল (নিষ্ক্রিয়) করে দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্রুতই সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।’
তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর নেপথ্যের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) যে আমাদের ভয় পায়, এই যে যুক্তিতর্ক, এটার যে এভিডেন্স, তাদের যে নিষ্ঠুরতার বর্ণনা, এটা যাতে দুনিয়াবাসী জানতে না পারে, তাদের জানতে দিতে চায় না এই অপরাধীরা। সে জন্য আমাদের ফেসবুক পেজের ওপর তারা সাইবার হামলা চালিয়েছে।’
অপরাধীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অপরাধ করে কখনো পার পাওয়া যাবে না। অপরাধীকে রক্ষা করার কোনো চেষ্টা কোনো দিন বাংলাদেশে সফল হবে না।’
এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ গত বুধবার শেষ হয়েছে। সেদিন মামলার ৫৪ তম সাক্ষী এবং তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর-এর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামলার আসামি হলেও সাবেক আইজিপি আল-মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।