ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ক্রমাগত হত্যা, নির্যাতন ও স্থানীয়দের তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ ঘোষণা করে নামফলক স্থাপন করেছে একটি সংগঠন।
আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ওই সড়কে নামফলক স্থাপন করে পিপলস অ্যাকটিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামের একটি সংগঠন। গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১৪২ নম্বর সড়কটিই প্রতিবাদকারীরা ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ নাম দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, বিকেল ৪টার দিকে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কে ৩০-৪০ জন জড়ো হন। পরে তাঁরা স্লোগান দিয়ে ওই সড়কে নামফলকটি স্থাপন করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দিলেও তাঁরা বাধা উপেক্ষা করে নামফলক স্থাপন করেন। রাত সাড়ে ৯টা শেষ খবর পর্যন্ত ফলকটি সেখানেই রয়েছে।
নামফলক স্থাপন শেষে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে এই সড়কের নাম ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আহমেদ ইসহাক বলেন, ‘আমরা অনেক লোক জমায়েত করতে পারতাম। ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে বড় জমায়েত করিনি। আমরা দূতাবাসের সামনেও যাইনি। নামফলক স্থাপন করে সবাই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী। ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে চার ঘণ্টার বেশি সময় ঝুলে ছিল। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশ আলোড়ন তুলেছিল দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে।