অনলাইনে এবং সরাসরি খামারির কাছ থেকে কেনা কোরবানির পশু পরিবহনের সময় হাসিল নেওয়া যাবে না। কোনো ইজারাদার বা তাঁর নিয়োজিত ব্যক্তি যাতে এই দুই মাধ্যমে কেনা পশুর জন্য হাসিল নিতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
স্থানীয় সরকার বিভাগ আজ বুধবার সব ডিসিদের এই নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সভা করে। সেই সভায় অভিমত জানানো হয়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বা সরাসরি খামারির কাছ থেকে কেনা পশু পরিবহনের সময় ইজারাদার বা তাঁর নিয়োজিত লোকজন হাসিল দাবি বা আদায়ের চেষ্টা করছে, যা আইনসম্মত নয়।
এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ এক চিঠিতে অনলাইন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অথবা খামারির কাছ থেকে কেনা পশু পরিবহনের সময় ইজারাদার বা তাঁর নিয়োজিত লোকজন যাতে হাসিল দাবি বা আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের অনুরোধ জানায়।
করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এবার কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারা দেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাটকে যুক্ত করা হয়েছে।