আজ রোববার শুভ মহালয়া। এই দিন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে। ভোরের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পিতৃপক্ষ শেষে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। বিশেষ এই দিনে ধ্বনিত হয় দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের বার্তা।
দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরুর পর ষষ্ঠীপূজা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, আর ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে দেবী মর্ত্যলোক ত্যাগ করে আবার কৈলাসে ফিরে যাবেন।
হিন্দু পুরাণমতে, দুর্গোৎসবের তিনটি পর্ব—‘মহালয়া’, ‘বোধন’ আর ‘সন্ধিপূজা’। মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বরে কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব—ত্রয়ী সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করেন। একেক দেবতা দিলেন অস্ত্র। দেবতাদের দেওয়া দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।