সকালে বাইরে বের হওয়ার সময় গরম লাগলেও বিকেলের পর খানিক হিম হিম ভাব থাকে। তাই এখন পর্যন্ত সোয়েটারের মতো শীতের পোশাক পরার প্রয়োজন না হলেও, সন্ধ্যার ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে এমন পোশাক পরছেন অনেকে। শীতের জন্য তুলে রাখা ডেনিম, গ্যাবার্ডিন, লেয়ারড টপস, মোটা কাপড়ের কটি, প্যান্ট, ব্লাউজ, ভিসকস চাদর বের করার ভালো সময় এখন। বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডও হালকা শীতের পোশাক হিসেবে এমন সব পোশাকের নকশা করেছে, সেসব পোশাক পরলে ঠান্ডাও লাগবে না আবার গরমে ঘেমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকবে না। ফ্যাশনেবল লুকও পাওয়া যাবে।
হালকা শীতে খুব ভারী বা হালকা-পাতলা পোশাক কোনোটিই পরা যায় না। সে ক্ষেত্রে লম্বা হাতার পোশাক, লেয়ারিং করে পরা যায় এমন পোশাক আরাম দেয়। স্টাইলিংয়ের জন্য এই ঋতুটি খুব ভালো। সৌমিক দাস, প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
নারীরা পরুন সুতির লম্বা হাতার কটি বা শ্রাগ
এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী পুরুষদের উপযুক্ত পোশাক হচ্ছে সুতির কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন স্টাইলের কটি। তরুণীদের কাছে ফ্যাশনেবল কটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। নানা কাট ও নকশার কটি এবং শ্রাগ পাওয়া যায় নারীদের জন্য। এ সময় এগুলো ফ্যাশনের পাশাপাশি ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করতে পারে। শুধু কামিজ, কুর্তি বা টি-শার্টের সঙ্গেই নয়; হালকা শীতে যেকোনো অনুষ্ঠানে নারীরা শাড়ির সঙ্গেও কটি ও শ্রাগ পরতে পারেন।
ফুলস্লিভ গেঞ্জির সঙ্গে হাতাকাটা ডেনিম কটি
পুরুষেরা হালকা শীত সামাল দিতে এভাবে স্টাইলিং করতে পারেন। ফুলস্লিভ গেঞ্জির সঙ্গে হাতাকাটা ডেনিমের কটি হালকা শীতের জন্য উপযোগী আর ফ্যাশনেবলও বটে। এখন মোটা সুতি, লিনেন, জর্জেট ও বিভিন্ন কাপড়ে এ ধরনের কটি তৈরি হয় বলে ১২ মাস পরা যায়। এর মধ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার জন্য ব্লক, বাটিক, এমব্রয়ডারি কিংবা হাতের কাজ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ডলার, চুমকি, পুঁতি ইত্যাদি দিয়ে নকশা করা কটি যেকোনো অনুষ্ঠানেও পরে যাওয়া যায়।
টপ-বটম সেট
নারীরা ফ্যাশনেবল টপসের সঙ্গে লুজ প্যান্ট বা পালাজ্জোর বিভিন্ন সেটও এই হালকা শীতে বেছে নিতে পারেন। ডেনিম বা গ্যাবার্ডিনের ওপর স্ক্রিনপ্রিন্টের এই টপ-বটম সেট বিভিন্ন কাটিংয়ের হয়ে থাকে বলে ফ্যাশনেবলও। ক্যাজুয়াল দিনগুলোয় আরাম পেতে এ পোশাকগুলোকেও আলমারিতে জায়গা দিতে পারেন।
চাদর, হুডি ও ব্লেজার তো আছেই
শীতের পোশাকে যত ধরনের বৈচিত্র্য আসুক না কেন, চাদরের কদর কোনো দিনই সম্ভবত কমবে না। ফ্যাশন হাউসগুলো শালের একঘেয়েমি নকশায় নিয়ে আসছে নতুনত্ব। করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন প্রিন্ট। আরও করা হচ্ছে প্যাচওয়ার্কের চাদর। এ ছাড়া ফুল, লতাপাতা, পাখির এমব্রয়ডারি করা চাদর তো রয়েছেই। হালকা শীতে উষ্ণতা পেতে বেছে নেওয়া যেতে পারে পাতলা গড়নের শাল। তবে এমন শাল বেছে নেওয়া উচিত, যা ব্যাগে বহন করা যায়।
পুরুষের জনপ্রিয় শীতের পোশাক হচ্ছে ব্লেজার। এখন সুতির কাপড়ে বিভিন্ন স্টাইলের ব্লেজার তৈরি হচ্ছে। সাদামাটা রঙের বদলে এসব ব্লেজারে থাকছে হট পিংক, লাল, সবুজ, লেমনের মতো মনকাড়া রং। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল যেকোনো লুকের জন্যই ব্লেজারের তুলনা নেই। এই হালকা শীতে ব্লেজার পরা যেতে পারে। তা ছাড়া এখন পুরো বছর পরা যায়, এমন ব্লেজার তৈরি করা হয়। তবে ব্লেজারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিটিংসের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ব্লেজারের ফিটিং ভালো না হলে বেমানান লাগে।
নিট ফ্যাব্রিকস ও সুতির কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের হুডি পাওয়া যায়। এগুলো ভরা শীতে পরার উপযোগী নয়। তবে হেমন্তের ভোরে অনেকটাই আরাম দেবে আপনাকে।
কোথায় পাবেন
রঙ বাংলাদেশ, বিশ্বরং, কে-ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, যাদুর বাক্স, ইজি, ইয়েলো, ক্যাটসআই, এক্সট্যাসিসহ দেশের সব ফ্যাশন ব্র্যান্ড হালকা শীতের পোশাক তৈরি করে। নন-ব্র্যান্ড শীতের পোশাক ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ জেলা শহরগুলোর সুপার মার্কেটেও পাওয়া যায়।