আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে সেটা একেবারেই অসম্ভব নয়। এর জন্য শুরুতে দরকার হবে সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকরী গাইডলাইন। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এটি শুধু আয় বাড়ানোর সুযোগ নয়, নতুন নতুন স্কিল অর্জন এবং ভবিষ্যতে বড় দলে লিডারশিপের সুযোগও তৈরি করে।
সম্ভাব্য ব্যবসার আইডিয়াটি ছোট করুন: নিজেদের আগ্রহ ও লক্ষ্য অনুযায়ী ব্যবসার তালিকা বানান। আপনি কি হাতে-কলমে কাজ করতে চান, নাকি কোনো ব্যবসা কিনবেন? ব্যবসা কি শুধু এক জায়গায় হবে, নাকি অনলাইনও হবে? টাকা আছে কি না, নাকি নিজের পরিশ্রমে শুরু করবেন? কী বিশেষ স্কিল আছে, যা ব্যবহার করতে পারবেন? এ প্রশ্নগুলো অনুসারে আইডিয়া ছোট করুন।
আইডিয়া পরীক্ষা করার সহজ উপায় ভাবুন: কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে ছোটভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। যেমন, কেউ যদি স্টাইলিং ব্যবসা পছন্দ করেন তাহলে কোনো এক বন্ধুকে মডেল বানিয়ে ফ্রিতে নিজের প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষামূলক একটি সেশন করে নিতে পারেন। এভাবে কম খরচে আপনি জানতে পারবেন, আপনার আইডিয়া কতটা কাজের।
একটি পরীক্ষা দিয়ে এখনই শুরু করুন: যে সব পরীক্ষা করা আইডিয়া আপনার আছে, তার মধ্যে একটি দিয়ে শুরু করুন। কাজ শুরু করলে অন্য কাজও সহজে এগোতে থাকবে। আপনার বন্ধুকে মডেল বানিয়ে চালানো পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন, আপনি কি এ ধরনের কাজ উপভোগ করেন? এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় স্কিল আছে কি? আরও কী গবেষণা বা প্রস্তুতি লাগবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিক করতে পারলে, আর দেরি করা ঠিক হবে না।
ব্যবসার জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন: ব্যবসা শুরু হলে অনেক দায়িত্ব থাকবে। আপনি হবেন সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও। বিক্রয়, মার্কেটিং, কাস্টমার সাপোর্ট, পেমেন্ট সংগ্রহ- সবই আপনাকে করতে হবে। শুরুতে কিছু কিছু নতুনত্বের উত্তেজনা কাজ করতে পারে। কিন্তু মাস, বছর ধরে ধারাবাহিক হতে হলে রুটিন দরকার। সপ্তাহে কত ঘণ্টা ব্যবসার জন্য দেবেন ঠিক করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন। যেমন: মাস, ত্রৈমাসিক। সঙ্গে বড় লক্ষ্যও ঠিক রাখুন।
নেটওয়ার্কিং বাড়ানোর উদ্যোগ নিন: চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা চালাতে গেলে একা সবকিছু সামলানো কঠিন হতে পারে। তাই এমন মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করুন, যাঁরা একই ধরনের ব্যবসা চালাচ্ছেন বা উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কে রয়েছেন। পরামর্শ, মতামত ও প্রয়োজনীয় সমর্থন পাওয়ার জন্য এই নেটওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থনও জরুরি। সঠিক সহযোগিতা থাকলে সময় ও ঝামেলা দুটোই কমানো যায় এবং ব্যবসার মান উন্নত করা সহজ হয়।
সূত্র: ফোর্বস