নতুন চাকরি মানেই নতুন উদ্দীপনা, নতুন অভিজ্ঞতা। এই উৎসাহের ভিড়ে আমরা অনেক সময় ভুলে যাই, নিজেকে ঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা কতটা জরুরি। কর্মজীবনের প্রথম পদক্ষেপ যদি সঠিকভাবে না নেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে সেই চাকরি ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগে নিজের সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
চলুন, দেখে নিই, চাকরি শুরুর আগে নিজেকে কোন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অবশ্যই করা উচিত।
১. আমি কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অবদান রাখব
- এই প্রশ্ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, আপনাকে এই চাকরিতে নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য। যদি বিশ্বাস থাকে যে নিজের প্রতিভা, দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে পারবেন, তবেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যাত্রা শুরু করুন।
২. আমার কাছ থেকে কী
- আশা করা হচ্ছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা আলাদা। তাই শুরুতে জেনে নিন, আপনার দায়িত্ব ও লক্ষ্য কী। প্রতিষ্ঠান আপনার কাছ থেকে কী আশা করছে। যখন আপনি নির্ভুলভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, তখন বুঝবেন, আপনি সত্যিই প্রস্তুত।
৩. কার সহযোগিতা আমার প্রয়োজন হবে
- নতুন কর্মস্থলে একা চলা কখনো সহজ নয়। শুরুতে খুঁজে বের করুন, কারা আপনাকে গাইড করতে পারেন বা সহযোগিতা দিতে পারেন। সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুললে কাজ সহজ হয়, আর কর্মপরিবেশও হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক।
৪. কাজের ধরনটা কেমন
- প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন আলাদা। কোথাও টিমওয়ার্কে জোর দেওয়া হয়, কোথাও ব্যক্তিগত দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই নতুন জায়গায় যোগদানের আগে তাদের কাজের ধরন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নিন। এতে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে।
৫. কোন কোন বিষয়ে আমার পারদর্শিতা বাড়াতে হবে
- সবাই সব বিষয়ে সমান দক্ষ নয়, এটাই স্বাভাবিক। তবে সফল হতে হলে কিছু নতুন দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। চাকরিতে যোগদানের আগে ভেবে দেখুন, কোন দিকগুলোতে নিজের
- দক্ষতা বাড়ালে কাজে আরও ভালো করা যাবে।
আমরা সবাই চাই নিজের জন্য একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে। তাই চাকরির শুরুতে যদি এই পাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে পারেন, তাহলে আগামীর পথ হবে অনেক বেশি সহজ, স্থিতিশীল ও সফল।