সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটার এক প্রকৌশলী নিজের করপোরেট জীবন নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁর ২০ বছরের অভিজ্ঞতা আর ৭০ লাখ ডলারের সম্পদ থাকলেও তিনি জানিয়েছেন, এই চাকরির পরিবেশ তাঁকে ক্লান্ত ও একঘেয়ে জীবনে বন্দী করে ফেলেছে। আর তাই তিনি মেটার চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় নামতে চান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ব্লাইন্ড নামের এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে—যেখানে কর্মজীবীরা পরিচয় গোপন রেখে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন—শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি জানান, চাকরির রাজনীতি আর কৃত্রিম ভাবমূর্তি ধরে রাখা তাঁর জন্য ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছে।
এই প্রকৌশলী পেশা বদলে শিক্ষকতা করার কথা ভাবছেন। কারণ, তাঁর সেই বিষয়ে আগ্রহ আছে। তবে তিনি এমন শিক্ষকের চাকরি খুঁজতে চান যেখানে ভালো বেতন পাওয়া যায়।
আর্থিক চাপের কারণে তিনি এখনই অবসর নিতে পারছেন না বলেও পোস্টে উল্লেখ করেছেন। দুই সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করতে হবে তাঁর। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭০ লাখ ডলার। আমি মনে করি না, এখনই অবসর নিতে পারব। দুই সন্তানের কলেজের খরচ দিতে হবে। আমি সাউথ বে এলাকায় থাকি। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা।’
তিনি করপোরেট সংস্কৃতির কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘করপোরেট দুনিয়ার ঘোরপ্যাঁচে আমি বিরক্ত। অভিনয় করে চলতে হচ্ছে, লোকজনকে খুশি রাখতে হচ্ছে যেন তারা আমার রিভিউ নষ্ট না করে, অযোগ্য ম্যানেজারের বাজে আচরণ সহ্য করতে হচ্ছে, দুপুরে খাওয়ার সময় মাথায় আসা অবাস্তব প্রত্যাশা পূরণের জন্য দৌড়াতে হচ্ছে—এসব সহ্য করতে আর পারছি না।’
তাঁর এই পোস্ট নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বলেছেন, তাঁর হাতে যথেষ্ট অর্থ আছে অবসর নেওয়ার জন্য। আবার কেউ কেউ বলেছেন, শিক্ষকতা আর উচ্চ বেতন সচরাচর একসঙ্গে যায় না। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তোমার দুই সন্তানের পড়াশোনার খরচ আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে হবে, আর সেটা খরচ হবে চার বছরজুড়ে। ৭০ লাখ ডলারের সম্পদ থাকলে এটা দিতে তোমার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘যদি শিক্ষকতা করতে চাও, তাহলে তোমার সন্তানের লক্ষ্য করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখো, যেখানে শিক্ষকেরা বিনা টিউশন ফিতে সন্তানদের পড়াতে পারেন। তাহলেই সমাধান।’