মানুষের শরীরের ছোট একটি অঙ্গ হলেও জবান তার পরিচয়ের মূল প্রতিফলন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মানুষ তার মুখ থেকে একটি কথাও উচ্চারণ করে না, কিন্তু তার কাছে একটি তত্ত্বাবধায়ক উপস্থিত থাকে।’ (সুরা কাফ: ১৮) অর্থাৎ প্রতিটি শব্দই লিখে রাখা হচ্ছে এবং কিয়ামতের দিন এসবের হিসাব দিতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্ক করেছেন, ‘যে আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নীরব থাকে।’ (সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘মানুষকে তাদের মুখের ফসল ছাড়া আর কী জাহান্নামে মুখ থুবড়ে ফেলবে?’ (জামে তিরমিজি)।
আজকের সমাজে জবানের অপব্যবহার ভয়ংকর আকার নিয়েছে। মিথ্যা, গিবত, কটুবাক্য, অশ্লীলতা ও অপবাদ এখন সাধারণ হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই অনর্থক বিতর্ক ও কটুকথায় জড়িয়ে পড়েন। অথচ একটি ভুল বাক্য মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করতে পারে।
জবান রক্ষার উপায়:
জবান মানুষের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিতে পারে, আবার জাহান্নামের কারণও হতে পারে। তাই আমাদের উচিত জবানকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণে রাখা, মিথ্যা ও কটুবাক্য থেকে দূরে থাকা এবং শুধু সত্য, ন্যায় ও কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি