ইসলামি মাসগুলো বছরের ধারাকে ধর্মীয় তাৎপর্যে সাজিয়ে দেয়। যেখানে প্রতিটি মাস নিজস্ব ইবাদত ও আধ্যাত্মিকতার বার্তা নিয়ে আসে। জমাদিউল আউয়ালের শেষ জুমা সেই উপলব্ধির একটি নরম ছোঁয়া, যা হৃদয়কে আবার টেনে আনে আল্লাহর দিকে।
এই মাসের শেষ জুমা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সময় থেমে থাকে না। মানুষের জীবন চলে যায় অজান্তেই। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘সময়ের শপথ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আসর: ১-২)। এই আয়াত যেন বলে—সময় চলে যাচ্ছে; তুমি কি নিজের অবস্থাটা দেখবে না?
মাসের শেষ জুমা তাই নিজেকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ—আমি কি গত সপ্তাহগুলো আল্লাহর পথে কাটাতে পেরেছি?
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মানুষ গুনাহ করে; তবে যে গুনাহগার তওবা করে, সে উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪২৫১)। এই হাদিস আমাদের সাহস দেয়—ভুল হতেই পারে, কিন্তু ফিরে আসার দরজা সব সময় খোলা। জমাদিউল আউয়ালের শেষ জুমা তাই তওবার জন্য একটি আদর্শ দিন।
নিজেকে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে—আমি কাকে কষ্ট দিয়েছি? কার প্রতি অন্যায় করেছি? আল্লাহর কোন আদেশ অবহেলা করেছি? এরপর সে অনুযায়ী তওবা করা হবে প্রকৃত মুমিনের কাজ।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি