ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘তাহারাহ’ শব্দের অর্থ পবিত্রতা। এ শব্দটি কুফরি থেকে মুক্ত হওয়ার কথা যেমন বলে, তেমনি তা সব ধরনের বাহ্যিক অপরিচ্ছন্নতা থেকে মুক্ত হওয়াকেও বোঝায়। বাহ্যিক পবিত্রতা একজন মুমিনের নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত। জান্নাতের চাবি যেমন নামাজ, তেমনি নামাজের চাবি পবিত্রতা।
আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা: ১০৮। অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)
হাদিসে পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ইমানের অংশ বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম) ইসলামে ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা, ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিপার্শের পরিচ্ছন্নতা—কোনোটিই বাদ যায়নি। কারও জন্য গোসল ফরজ না হলেও শরীরে ঘাম, ধুলাবালু ইত্যাদি লাগার কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে, তাই অন্তত সাত দিনে একবার হলেও গোসল করতে বলা হয়েছে।
দাঁত ও মুখের যত্নে মিসওয়াক ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। চুলের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায়ও ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি নখ কাটা, গোঁফ ছোট করা, অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করাসহ কোনোটিই বাদ যায়নি।
ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হাদিসে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্রকে পছন্দ করেন। আল্লাহ পরিচ্ছন্ন। তিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। আল্লাহ মহৎ। তিনি মহত্ত্ব পছন্দ করেন। আল্লাহ বদান্য। তিনি বদান্যতা পছন্দ করেন। অতএব তোমরা তোমাদের উঠানগুলো পরিচ্ছন্ন রাখবে।’ (জামে তিরমিজি)