রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সৌন্দর্য কেবল বাহ্যিকেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তাঁর অন্তরাত্মার দীপ্তি তাকে অনন্য করে তুলেছিল।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা কলম: ৪)। অন্যএক আয়াতে এসেছে, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)।
এই আধ্যাত্মিক মর্যাদা তাঁর ব্যক্তিত্বকে আরও অনন্য ও দীপ্তিময় করে তোলে।
সাহাবায়ে কেরাম বর্ণনা করেছেন, তাঁর চেহারা ছিল পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, চোখের জ্যোতি হৃদয়কে মুগ্ধ করত, আর মুখমণ্ডল থেকে উদ্ভাসিত মৃদু হাসি মানুষের মন ছুঁয়ে যেত। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্য—সদাচরণ, নম্রতা, ধৈর্য, আন্তরিকতা ও দয়া—সমস্ত মানবজাতির জন্য এক অনন্য আদর্শ স্থাপন করেছিল।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন এমন এক মহৎ ব্যক্তিত্ব, যিনি সৌন্দর্য এবং নৈতিকতার এক অমোঘ সংমিশ্রণ হয়ে মানব ইতিহাসে চিরন্তন ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর জীবন ও চরিত্র আমাদের দেখায় কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, মানবিক নীতি ও নৈতিকতার দীপ্তিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এভাবে তিনি কেবল চরিত্রের মহিমায় নয়, সৌন্দর্য, সদাচরণ এবং মানবিক আদর্শে সমগ্র বিশ্বের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।